চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) পাঁচ নম্বর রোড়ে ১২ ঘন্টা ধরে অগ্নিকাণ্ডের পর জ্বলতে থাকা ভবনটি ধসে পড়েছে। প্রায় ১০ ঘন্টা পর রাত দেড়টার দিকে ভবনটি ধসে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। দীর্ঘ সময় ধরে আগুনে জ্বলতে থাকায় ভবনের ভিত দুর্বল হয়ে ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, প্রথমে আটতলার একটি অংশ ধসে পড়ে৷ একপর্যায়ে ভবনটি দ্রুত নিচের দিকে ধসতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো ভবনটি ধ্বসে পড়ে। এসময় পাশের একটি পুকুর থেকে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ইপিজেডের পাঁচ নম্বর রোড়ে অ্যাডামস ক্যাপ কারখানার সপ্তম তলায় আগুন লাগে। পরে আগুন আটতলা ভবনটির সবকটি ফ্লোরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ ভবনটিতে হাজারের বেশি পুরুষ ও নারী শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন৷ তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার এলার্ম বেজে ওঠায় শ্রমিকরা দ্রুত সরে পড়েন৷ এ সময় তড়িঘড়ি করে ভবন ছাড়তে গিয়ে অনেকে আহত হন। ভবনটিতে অ্যাডামস ক্যাপ ছাড়াও একটি চায়না কোম্পানি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট তৈরি করত। ওই ভবনের পাশে আদম টেক্সটাইল ও আল হামিদি টেক্সটাইল রয়েছে। এছাড়াও প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি শিল্প কারখানার অবস্থান সেখানে।
জানা যায়, কারখানাটি ফিরোজ নামে পাকিস্তানি একজন ব্যবসায়ীর৷ তবে তিনি আমেরিকায় বসবাস করেন।
এর আগে আশেপাশের ভবনগুলো অক্ষত থাকে মত চেষ্টা চলমান রয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, এটা ছাড়া আমাদের এখন আর কিছু করার নেই। এসময় পানি সংকটের কথাও তিনি জানিয়েছিলেন।
অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কম নয়৷ এরপরও ফায়ার সার্ভিস এসব থেকে শিক্ষা নেয় না। ইপিজেড এলাকায় যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেখান থেকে অল্প দূরত্বে সমুদ্র। কিন্তু সে পানি ব্যবহার করে আগুন নেভানো যাচ্ছে না। ১০ ঘন্টা ধরে আগুন জ্বলতে থাকলেও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়নি।






