শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

মাছ-মাংসের বাজারে নেই স্বস্তি

কলিকাল প্রতিনিধি

ছবি : সংগৃহীত

আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আড়ৎ, শনিরআখড়া, রায়েরবাগসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে— প্রায় সব ধরনের মাছ ও মাংসের দাম আগের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি রয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়া ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বেতন-ভাতা অপরিবর্তিত থাকলেও বাজারে প্রতিদিনই নতুন দামের চাপ পড়ছে।

কেনাকাটা করতে আসা স্থানীয় লেকেরা বলেন, গত মাসেও রুই মাছ কিনেছি ৩২০ টাকায়, এখন সেটা ৩৮০ টাকা। গরুর মাংসের দাম ৭৫০ থেকে বেড়ে ৭৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, বিক্রেতারা দাবি করছেন, পাইকারি বাজার থেকেই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাষিরা ফিড ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে মাছ বিক্রি করছেন।

বর্তমানে রাজধানীর বাজারে রুই, কাতলা, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়ার দাম প্রতি কেজিতে গড়ে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাচকি ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা, নলা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাসের দাম কিছুটা কম রয়েছে। প্রতি কেজি পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা ও তেলাপিয়ার ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।

এদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, আর খাসির মাংস ১,১০০ থেকে ১,২০০ টাকায়। মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে— ব্রয়লার ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং সোনালী ৩০০ থেকে ৩২০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, টানা বৃষ্টি ও পরিবহন ব্যয়ের চাপ বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তারা মনে করছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

 

বিক্রেতাদের দাবি, এই দামে তারা তেমন লাভ করছেন না। অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন— ‘দাম না বাড়লেও কমছে না, তাই স্বস্তিও নেই।’

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.