চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন— জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া, অস্ট্রেলিয়ার রিচার্ড রবসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওমর এম. ইয়াগি। এখানে ওমর এম. ইয়াগি ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ধাতু-জৈব কাঠামো উদ্ভাবনের জন্য যৌথভাবে এ পুরস্কার পেয়েছেন তারা।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ওমর এম. ইয়াগি ১৯৬৫ সালে জর্ডানের আম্মানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ইয়াগি ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় আর্বানা-শ্যাম্পেইন থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলেতে অধ্যাপনা করছেন।
সুসুমু কিতাগাওয়ার জন্ম ১৯৫১ সালে জাপানের কিয়োটো শহরে। ১৯৭৯ সালে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন তিনি। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আর রিচার্ড রবসনের জন্ম ১৯৩৭ সালে যুক্তরাজ্যের গ্লাসবার্নে। ১৯৬২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস জানায়, এই তিন বিজ্ঞানী এমন এক নতুন ধরনের আণবিক স্থাপত্য তৈরি করেছেন, যার মধ্যে গ্যাস ও রাসায়নিক পদার্থ প্রবাহিত হতে পারে। এই কাঠামো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে— যেমন মরুভূমির বাতাস থেকে পানি আহরণ, কার্বন ডাই-অক্সাইড ধারণ, বিষাক্ত গ্যাস সংরক্ষণ কিংবা রাসায়নিক বিক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।






