ফিলিস্তিনের অধ্যুষিত গাজায় জিম্মি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা এক ইসরায়েলির মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত হন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রেডক্রসের তত্ত্বাবধানে মরদেহটি ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রেডক্রস মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে এবং তা গাজায় অবস্থানরত সেনাদের কাছে হস্তান্তরের কাজ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। চুক্তির অংশ হিসেবে গাজায় নিহত জিম্মিদের মরদেহ ধীরে ধীরে ফেরত দিচ্ছে হামাস। এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ১৩ অক্টোবর হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল।
হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল–হায়া সম্প্রতি বলেছেন, গাজায় নিহত জিম্মিদের মরদেহ খুঁজে বের করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যুদ্ধের কারণে গাজার ভূপ্রকৃতি বদলে গেছে, দাফনকারীদের অনেকে মারা গেছেন, আবার কেউ কেউ কবরস্থানের অবস্থানও মনে করতে পারছেন না।
এই পরিস্থিতিতে মরদেহ উদ্ধারে সহায়তার জন্য মিসরের কারিগরি দলকে গাজায় কাজ করার অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। দলটি এক্সকাভেটর ও ট্রাক ব্যবহার করে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এদিকে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় নাসের হাসপাতালের সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ ড্রোন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত আটজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।






