শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

কলিকাল প্রতিনিধি

ছবি : সংগৃহীত

এবার বাড়িভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন।

গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এবার আন্দোলনরত শিক্ষকরা শিক্ষা ভবন অভিমুখে খালি থালা ও প্লেট হাতে নিয়ে ‘ভূখা মিছিল’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের সময় নির্ধারণের কারণে কর্মসূচি বিকেল ৩টায় পালিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, চলমান আন্দোলন ও শিক্ষকদের দাবি-দাওয়াসহ সার্বিক বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষকদের তিন দফা দাবির এ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের সভাপতি ‍অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী।

তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টায় বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আন্দোলন সংক্রান্ত ব্যাপারে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ‘ভূখা মিছিল’ বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, ভূখা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার থেকে থালা-বাটি নিয়ে শিক্ষা ভবনের দিকে যাবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। চলমান শিক্ষক ও কর্মচারীদের আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ভূখা মিছিল বের হবে। ইতোমধ্যেই আমাদের ১০০ জন শিক্ষক অনশন কর্মসূচি পালন করছেন, বাকিরা অবস্থান কর্মসূচি করছেন।’

আজিজী আরও বলেন, ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া মানে ২০; ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা; এখানে ১৫০০ মানে ১৫০০। এখানে কমানোর কোনো সুযোগ নেই। যতক্ষণ দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ সারা দেশের শিক্ষকরা রাজপথ ছাড়বেন না। প্রয়োজনে আমরা রক্ত দেব, তবু দাবি আদায় করে ছাড়ব।

উল্লেখ্য, ভূখা মিছিল হলো এমন এক প্রতিবাদ কর্মসূচি, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাস্তায় মিছিল করে নিজেদের দাবি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাধারণত খাদ্য সংকট, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুরবস্থা, ন্যায্য মজুরি না পাওয়া বা সরকারের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে এই ধরনের মিছিল আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা প্রতীকীভাবে না খেয়ে থাকেন, যাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.