শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২, ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

নিহত শিশু আহাদের পরিবারে কাটছেনা শোকের ছায়া

কোটা আন্দোলন থেমে গেছে। হয়ত বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া স্থাপনা নির্মিত হবে। সবকিছুতে ফিরে আসবে চিরচেনা রুপ। কিন্ত নিস্পাপ, বাড়িময় কোলাহল করে শিশু পুত্র আহাদের কথা কি ভুলতে পারবে তার পরিবার? তার নির্মল হাসি আর কচিমুখের মিষ্টি কথা কি ভুলতে পারবে মা-বাবা সহ স্বজনেরা?

সরেজমিনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে গিয়ে পরিবার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। ঘটনার দিন-বাবার সঙ্গে ৮তলা বিল্ডিংয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল শিশুপুত্র আহাদ (৪)। বাবা মা পাশেই ছিল।

বাসার নিচে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি চলার দৃশ্য দেখছিল সবাই। হঠাৎ মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে শিশু আহাদ। ছেলেকে ধরে তুলতে গিয়ে রক্তে ভিজে যান বাবা আবুল হাসান ও মা সুমি আক্তার। ঞ্ছোট্ট আহাদের ডান চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাথার ভেতরে আঁটকে যায়। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে নিতে বিরুপ পরিবেশ পাড়ি দিতে হয়। পরের দিন নিস্পাপ নিথর দেহটি নিয়ে একেবারে নির্বাক হয়ে যায় মা-বাবা।

মর্মান্তিক ঘটনাটি গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বিকেলে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত শিশু আহাদের চাচা মোকলেসুর রহমান বলেন, আমার ভাই আবুল হাসান রায়েরবাগ এলাকায় ১১তলা বিল্ডিংয়ের আটতলায় তার স্ত্রী সুমি আক্তার, বড় ছেলে দিহান মাতুব্বর (১১) ও ছোট ছেলে আহাদকে নিয়ে বসবাস করতেন।

তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে আমার ভাই, ভাবি ও ভাতিজা বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাসার নিচে ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে চলা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার দৃশ্য দেখছিল। হঠাৎ ভাতিজা আহাদের ডান চোখে গুলি লাগে। রক্তাক্ত আহাদকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে আইসিইউ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরের দিন শনিবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ভাতিজা আহাদ।

রবিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর আহাদের মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। পরে সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুখুরিয়ায় নিয়ে আসা হয়। রাতেই বাড়িতে দাফন করা হয় আহাদকে।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.