গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, নির্বাচন বিঘ্নিত হোক আমরা এমন কোনো কাজ চাই না। কিন্তু জাতীয় পার্টির বিষয়ে ফায়সালা না হয়ে যদি আমরা নির্বাচনে যাই, তাহলে আমাদের জন্য শনির দশা অপেক্ষা করছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও খুলনাসহ যেসব এলাকা একটু আওয়ামী লীগ হিসেবে পরিচিত, ওইসব এলাকায় জাতীয় পার্টির মাধ্যমেই তারা নির্বাচনে নাশকতা করতে চেষ্টা করবে। আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে চেষ্টা করবে। কাজেই জাতীয় পার্টির বিষয়ে নির্বাচনের আগে আমাদের একটা ফায়সালায় যাওয়া দরকার।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগেই জিএম কাদের একটা বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি কীভাবে এই দুঃসাহস দেখাতে পারেন এবং বলতে পারেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এই কথা বলার পর জিএম কাদের কীভাবে এই ঢাকার রাজপথে তার অফিসে আসেন, তার উত্তরার বাড়িতে অবস্থান করেন।
গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, আমরা চাই আগামীর বাংলাদেশ গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় গড়ে উঠবে। আগামীর বাংলাদেশে হানাহানি, মারামারি ও বিভাজন থাকবে না। আমরা চাচ্ছি, নির্বাচন যথাসময় হোক। রাজনৈতিক নেতাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে। এই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-যুবক-তরুণরা আন্দোলন করেছেন। তারা আহত হয়েছেন, গ্রেফতারও হয়েছেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদেরও কিন্তু প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছে।
গণহত্যার বিচারের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে নুর বলেন, যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো সংকট তৈরি হয়, আমাদের রাজনীতিকদের জন্যই কিন্তু বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। কাজেই আমাদের প্রাণের দাবি, গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা এবং নির্বাচন। গণহত্যার বিচার চলছে এবং এই যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের যে প্রসিকিউশন টিম তাদের কার্যক্রমে আমরা খুশি।






