রাতেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ে ঘরমুখো মানুষ চরম ভোগান্তিতে

আর মাত্র একদিন পরেই ঈদ-উল-আজহা। এই শেষ সময়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে এ মহাসড়ক দিয়ে সারাদিন ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে ছিলো চরমে। রাতেও ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত ৮টা পর্যন্ত টানা ১৬ ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে যানজট অব্যাহত রয়েছে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে যাত্রী ও চালকদের। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে মহাসড়কে পুলিশ সদস্য যানজট নিরসনে কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে মহাসড়কের যমুনা সেতু থেকে আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই যানজট এখনো শেষ হয়নি।

অপরদিকে গণপরিহন না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিক আপ, পণ্যবাহী পরিবহন করে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল পাড়ি দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। প্রতিবছরের মতো এবারেও ঈদের যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে তাদের।

যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোর থেকে হঠাৎ করে মহাসড়কে যানবাহন বেড়ে যাওয়া, যমুনা সেতুর উপর গাড়ি বিকল হওয়াতে বেশ কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির দৌরাত্ম্য, চালকদের বেপরোয়া আচরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, যেখানে সেখানে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে এমন হচ্ছে।

যমুনা সেতুর ম্যানেজার (টোল অপারেশন) প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, “অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও সেতুর উপর গাড়ি বিকল হওয়াতে বেশ কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ ছিল।”

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, “মহাসড়কে যানজট নিরসন পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টায় নিরসলভাবে কাজ করছে।”

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার