বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো সংকটময় মুহূর্তে সেনাবাহিনী বারবার নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। এ সময়ে সেনাবাহিনী মাঠে সক্রিয়ভাবে নেমে আসে। বিশেষ করে যৌথ পুলিশ-সেনা অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে প্রশংসিত নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন দেশের গর্ব এই বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানগুলোতে এরই মধ্যে হাজারো দৃষ্কৃতিকারী আটক হয়েছে এবং বিপজ্জনক অস্ত্র ও বিস্ফোরক পদার্থ জব্দ করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে স্থিতিশীল হয়েছে।
অবৈধ অস্ত্র ও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুধু অপরাধ দমনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তাদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনী শুধু শক্তির প্রয়োগ নয়, পরিকল্পিত ও পেশাদারি পদক্ষেপে সমাজে নিরাপত্তার অনুভূতি জাগিয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও সেনাবাহিনী বারবার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বন্যা, ঝড়, ভূমিধসের সময় তারা দ্রুত রেসকিউ অপারেশন চালিয়েছে। বিপর্যস্ত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করা, ত্রাণ বিতরণ, জরুরি অবকাঠামো পুনঃস্থাপন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদান করে সেনাবাহিনী জনদুর্ভোগ লাঘব করে আসছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের বানভাসা অঞ্চলে সেনাবাহিনী দ্রুত কার্যক্রম পরিচালনা করে হাজারো পরিবারকে সুরক্ষিত করেছে এবং স্থায়ী পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেনাবাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতি সংকটময় সময়ে জনগণের জন্য বড় এক ভরসার বিষয়। তাদের দক্ষতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সমাজে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছে।
এর আগেও বহুবার বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সংকটের সময়ে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। দেশের নিরাপত্তা, শান্তি এবং মানুষের জীবন রক্ষায় তারা যে ভূমিকা রেখে চলেছে, তা স্থায়ীভাবে প্রশংসার যোগ্য।
রাজনৈতিক অস্থিরতা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ—যেখানে জনগণ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে—সেনাবাহিনী বারবার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে চলেছে, যা দেশের স্থিতিশীলতা এবং সাধারণ মানুষের আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বাড়িয়েছে।






