বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আচমকাই জাতীয় দল কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন প্রকাশ্যে হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরার পদত্যাগ দাবি করেন।
বাফুফের নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনাল অডিট সংক্রান্ত আপডেট জানানো। কিন্তু শাহীন স্পষ্ট করে জানান, তাঁর এজেন্ডা একটাই—কোচ কাবরেরাকে সরানো।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় দল কমিটির সদস্য হিসেবে আমি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করতে কাবরেরার পদত্যাগ চাচ্ছি।’
গত ১০ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হেরে যায় সিঙ্গাপুরের কাছে। প্রায় ২০ হাজার দর্শকের সামনে এমন হারে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে হতাশা বাড়ে। অথচ কাগজে-কলমে সিঙ্গাপুর ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে থাকলেও, এই ম্যাচে লড়াইয়ের মানদণ্ডে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে মূলত কৌশলগত দিক থেকে।
কোচ কাবরেরার দল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এবং খেলোয়াড়দের পজিশনিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার কাজেম শাহকে রাইট উইঙ্গে খেলানো, ফর্মে থাকা রাকিবকে ভুল পজিশনে ব্যবহার করা, এবং সুমন রেজা ও আল আমিনের মতো স্ট্রাইকারদের বাইরে রাখা নিয়ে চলেছে প্রবল সমালোচনা।
হাভিয়ের কাবরেরা সাড়ে তিন বছরে ৩২টি ম্যাচে ডাগআউটে ছিলেন। তার অধীনে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অনেক সময়ই ধোঁয়াশাপূর্ণ। দল নির্বাচন থেকে ম্যাচ কৌশল—সবকিছুই সমালোচিত হয়েছে, বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যদি হয় সামান্য শক্তিশালী। সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর প্রশ্ন ওঠে, এমন ভুল সিদ্ধান্তগুলো কেন বারবার হয়?
সংবাদ সম্মেলনের পর সূত্র জানিয়েছে, বাফুফের ভেতরে কোচ বদলের ভাবনা আস্তে আস্তে জোরালো হচ্ছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি, তবে জাতীয় দল কমিটির একাধিক সদস্য কাবরেরার কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ দলের পরবর্তী আন্তর্জাতিক ম্যাচ সেপ্টেম্বরে। কিন্তু ততদিনে ঘরোয়া ফুটবল মাঠে গড়াবে না। ফলে প্রস্তুতির অভাব, কৌশলগত সংকট এবং কোচ নিয়ে অনিশ্চয়তা মিলিয়ে জাতীয় দলকে নিয়ে সংশয় আরও ঘনীভূত হচ্ছে!