দারুণ ছন্দে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড জ্বলে উঠলেন আবার। ঘরের মাঠে তারকা স্ট্রাইকার দেখা পেলেন জোড়া গোলের, গড়লেন রেকর্ডও।
বোর্নমাউথকে হারিয়ে লিগে পয়েন্ট তালিকায় বড় লাফ দেয় ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। আট নম্বর থেকে পাঁচ ধাপ এগিয়ে দুইয়ে উঠেছে সিটিজেনরা। ১০ ম্যাচে ছয় জয় ও এক ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ১৯। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আর্সেনাল। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে বোর্নমাউথ।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে সিটিকে এগিয়ে নেন হালান্ড। অবশ্য লিডটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ম্যানসিটি। আট মিনিট পর টাইলার অ্যাডামসের গোলে সমতা ফেরায় বোর্নমাউথ। লিড ফিরে পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ৩৩ মিনিটে গোল করে নিজের জোড়া পূরণ করেন হালান্ড। আর এতেই প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে লুইস সুয়ারেস ও রবি ফাউলারের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ঘরের মাঠে টানা চার ম্যাচে দুই বা এর বেশি গোল করার কীর্তি গড়লেন এই নরওয়ের তারকা। সিটির হয়ে ম্যাচের সবশেষ গোলটি ৬০ মিনিটে করেন মিডফিল্ডার নিকো ও’রাইলি।
১০ ম্যাচে ১৩ গোল করে এবারের লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হালান্ড। এই মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে ১৬ ম্যাচে ২৬টি গোল তার। এবারের লিগে এখন পর্যন্ত মোট ২০টি গোল করেছে সিটি, এর ১৩টিই হালান্ডের। চলতি মৌসুমে সতীর্থদের অন্য কারোর এই রেকর্ড নেই।
ম্যাচ শেষে সিটিজেন কোচ গার্দিওলা হালান্ডকে মেসি ও রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করেন। কোচ বলেন, ‘অবশ্যই আমরা দারুণ পারফর্ম করেছি, আর্লিং ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। বিষয়টা কিছুটা মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানোর সঙ্গে খেলার মতো। সে কি তাদের পর্যায়ে পৌঁছেছে? ছেলেটার সংখ্যাগুলো দেখেছেন? ওহ ঈশ্বর, হ্যাঁ, অবশ্যই সে সংখ্যার বিচারে ক্রিশ্চিয়ানো ও মেসির মানে পৌঁছে গেছে।’
তবে মেসি আর রোনালদো এক যুগের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে এই কাজটা করে গেছেন। গার্দিওলা সেটাও মনে করিয়ে দেন। গার্দিওলা বলেন, ‘ক্রিশ্চিয়ানো ও মেসির সঙ্গে পার্থক্য হলো, তারা ১৫ বছর ধরে তাদের কাজটা করে যাচ্ছে। মেসি এখনও মেজর লিগ সকারে প্রতিদিন (ম্যাচে) দুই বা তিনটি গোল করছে। সৌদি আরবে ক্রিশ্চিয়ানো তাই করছে। তবে সে (হালান্ড) তাদের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এবং তাকে ছাড়া (অর্জন) কঠিন হতো।’






