বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

হিজাব-বোরখা নিয়ে রাবি শিক্ষকের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য; শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কলিকাল প্রতিনিধি

ছবি ডিজাইন : দৈনিক কলিকাল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (রাকসু) নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের হিজাব-বোরখা পড়া ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের একটি বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১১টায় এ পর্দার অবমাননািউল্লেখ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

এসময় রাকসুর মহিলা সম্পাদক সায়েদা হাফসা বলেন, হিজাব পড়েও নারীরা যখন অপ্রতিরোধ্য, তখন একটা পক্ষ তাদের বাধা দিয়ে, কটুক্তি করে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের ছবি যুক্ত করে বলেছেন টু কোয়াটার ও মদের বোতল নিয়ে ক্লাসে আসতে চান। টু কোয়াটার আর মদের বোতল কী সামাজ মূল্যায়ণ করে? একইভাবে বোরখাকে নিয়ে কী সামাজিকভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়? তিনি যা করতে চেয়েছেন, এখন তা করে দেখাক। এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে বহিষ্কার করতে হবে।

রাকসু জিএস সালাউদ্দিন আম্মার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, যদি তার মেরুদণ্ড সোজা থাকে অবশ্যই অবশ্যই তিনি বিভাগে মদের বোতল ও হাফ পেন্ট পড়ে আসবেন, আদারওয়াইজ (অন্যথায়) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে শোকস করবে। আমরা তার বিভাগের সামনে অবস্থান নেবো। তিনি তিন সেকেন্ড ধরে পোস্ট রেখেছিলো না তিন মিনিট রেখেছিলো তা আমাদের বোঝার বিষয় নয়। এখানে (ছবিতে) কোন রাজনৈতিক দলের বোনেরা ছিলনা, এখানে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত বোনেরা ছিলো। তাই শিক্ষার্থীদের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, হিজাবের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, মুসলমানের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে।

এর আগে, নবনির্বাচিত রাকসু হল সংসদ প্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে বোরখা পড়া ছবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুনসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্ট করেন। কিছুক্ষণ পর ডিলিটও করেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্টের স্ক্রিনশট বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্ক শুরু হয়। রাতেই পর্দা অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

আ-আল মামুনের পোস্টে লেখা ছিল, “এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়াটার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!” (নিচে রাকসু হল সংসদের নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের দুটি ছবি যুক্ত করেন তিনি)

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.