আলোচিত ঢালিউড অভিনেতা সালমান শাহ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী সামীরা হক ও খলনায়ক আশরাফুল হক ডনসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত। সম্প্রিতি এই মামলার আসামি ডনের দেশত্যাগ নিয়ে নানা গুনজন শোনা জাচ্ছে। এরই মরেধ্য মুখ খুললেন এ খলনায়ক। তিনি বলেছেন, দু-এক দিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ।
আশরাফুল হক ডন বলেন, ‘সবাই বলছে আমি নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ৩০ বছর পালাইনি, এখন পালাব কেন? আমি বাসাতেই আছি। ভাবছি, দু-এক দিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করব। কারণ ৩০ বছর ধরে যন্ত্রণা ভোগ করছি। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, ‘যে চলচ্চিত্র ভালোবেসে ঘর ছেড়েছি, অভিনয়ের ভালো সুযোগ পাওয়ার আশায় হার্টথ্রব সালমান শাহর সঙ্গে জুটি গড়েছিলাম। মা-বউয়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত মানুষটির সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছি। তাকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সালমানকে ভালোবেসে আমার ক্যারিয়ারের বারোটা বেজেছে। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। সালমানকে ভালোবেসেছি বলেই জীবনের প্রচণ্ড ঝড় মেনে নিয়েছি।’
এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘সালমানকে ভালোবাসার যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না। আমিও তো মানুষ, আমারও তো বাঁচতে ইচ্ছে করে। সালমানকে ভালোবেসে অনেকেই আত্মহত্যা করেছে, আমি করিনি—এটাই কি আমার অপরাধ? আমি আত্মহত্যা করলেই কি সবাই খুশি হতো? ওপরে একজন আছেন, তিনি সব দেখেন। একদিন সত্য প্রকাশ হবেই, তবে আমি সেদিন দেখে যেতে পারব কি না জানি না।’
নব্বইয়ের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের এক ধূমকেতুর নাম সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই অভিনেতা মাত্র সাড়ে তিন বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকদের মন জয় করে নিমিষেই খসে পড়েন চলচ্চিত্রের আকাশ থেকে।
মাত্র চার বছরের অভিনয়জীবনে ঢালিউডে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা নায়ক হিসেবে কোটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে তার মৃত্যু ঘটে। এই মৃত্যু নিয়ে সম্প্রতি আবার তৈরি হয়েছে আলোচনা।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর পর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। তবে গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।






