রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সরাসরি সতর্কবার্তা দিয়েছেন বেলজিয়ামের প্রতিরক্ষামন্ত্রী থিও ফ্রাঙ্কেন। তার বক্তব্যে স্পষ্ট বার্তা- যদি পুতিন ব্রাসেলসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখান, তবে মস্কোকে মানচিত্র থেকেই মুছে ফেলা হবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলজিয়ান সংবাদমাধ্যম ডি মরগেন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ফ্রাঙ্কেন বলেন, ‘ন্যাটোর যৌথ প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি অটুট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় মিত্রদের পাশে শতভাগভাবে থাকবে- এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ব্রাসেলসে ক্রুজ মিসাইল হামলার চিন্তা সম্পূর্ণ অবাস্তব। পুতিন এমন কিছু করবেন না বলেই আমি মনে করি।’
তবে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে ছোট করে দেখারও বিপক্ষে অবস্থান নেন এই বেলজিয়ান মন্ত্রী। তার ভাষায়, ‘রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থনীতি এখন ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত গোলাবারুদ উৎপাদনের চারগুণ। অথচ ইউরোপের কোনো কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড কাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি।’
ফ্রাঙ্কেন মনে করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ থমকে আছে মূলত পশ্চিমা বিশ্বের বিরাট সমর্থনের কারণে।
ভবিষ্যৎ ভূরাজনীতির প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, রাশিয়া ও চীনের মধ্যে কৌশলগত জোট পশ্চিমের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। ‘চীন চায় ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ হোক, কারণ এতে পশ্চিমা শক্তি দুর্বল হয়। তারা রাশিয়াকে কাঁচামাল সরবরাহ করছে, অস্ত্র দিচ্ছে- এমনকি উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানোর বিষয়েও পুতিনকে সমর্থন দিচ্ছে,’ বলেন ফ্রাঙ্কেন।
বাল্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কেও মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে, ‘বাল্টিক দেশগুলো ন্যাটোর সদস্য হওয়ায় সেখানে রাশিয়ার সরাসরি আক্রমণের সম্ভাবনা খুবই কম। তাছাড়া ইউরোপে ছয় শতাধিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের পরিকল্পনা চলছে, যেগুলো রাশিয়ান সেনাদের আতঙ্কের কারণ, কারণ তারা এগুলো সনাক্তই করতে পারে না।’






