ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলায় ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় যাত্রীবোঝাই একটি বাসে আগুন ধরে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে কুর্নুলের চিন্নাটেকুরে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে আগুন ধরে যায়। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় আরও ২১ জন যাত্রী আহত হয়। নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী একটি ভলভো বাস মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাসটিতে মোট ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।
হায়দরাবাদ থেকে বাসটি রাত ১২টার দিকে যাত্রা শুরু করে, আর ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কুরনুল কাছে এসে দুর্ঘটনায় পড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেখান থেকেই আগুনের স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনার পর চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুন কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো বাসটিকে গ্রাস করে ফেলে।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল এনডিটিভিকে বলেন, ভোর ৩টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী কাবেরি ট্রাভেলসের একটি ভলভো বাস একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা মারে। মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায়, সম্ভবত সেখান থেকেই আগুন ধরে যায়। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং তারা আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে। যেহেতু এটি একটি এসি বাস ছিল, যাত্রীরা জানালার কাচ ভেঙে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। যারা কাচ ভাঙতে পেরেছেন, তারা বেঁচে গেছেন।
যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, বাসটিতে ৪০ জন যাত্রী ছাড়াও চালক ও বাসটির কর্মীরা ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অনেকে ঘুমিয়ে ছিলেন, যার ফলে তারা আগুন থেকে পালাতে পারেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাতিল আরও বলেন, ১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে ১১ যাত্রী চিকিৎসাধীন আছেন, আর তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধান ও নিহতদের শনাক্তের কাজ চলছে।






