বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে

১৭৯ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

ওয়ানডেতে রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টা ১৮৩ রানের। ২০২৩ সালে সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে ওই ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ ছিল মিরাজদের। তবে, বাংলাদেশকে রেকর্ড করতে দেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল হোসেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন ৯৭ রানে নবম উইকেট খোয়াল, পিছিয়ে ছিল ১৯৯ রানে। খারি পিয়েরকে নিয়ে ১০ম উইকেটে ২০ রান যোগ করেন আকিল হোসেন। জুটিতে পিয়েরের অবদান শূন্য রান। ১৫ বলে ২৭ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হন আকিল। এভাবেই বাংলাদেশ জেতে ১৭৯ রানের বড় ব্যবধানে। তবে, আগের রেকর্ড থেকে মাত্র ৫ রানে পিছিয়ে থাকায় নতুন রেকর্ড গড়া হয়নি টাইগারদের।

বৃহস্পতিবারের (২৩ অক্টোবর) এই জয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের বড় জয়টা ছিল ১৬০ রানের, ২০১২ সালে খুলনায়।

এই জয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে টানা সিরিজ হারের ধারাবাহিকতা থেকে বের হলো বাংলাদেশ। টানা চারটি সিরিজ হারার পর প্র্রথম সিরিজ জিতল টানা ১৯ মাস পর। এবারের আগে সর্বশেষ গত বছরের মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।

২৯৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে কখনোই স্বস্তিতে ছিল না ক্যারিবীয়রা। বাংলাদেশের স্পিনাররা উইকেট পেয়েছেন নিয়মিতই। ৩০.১ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয়েছেন সফরকারীরা। সবগুলো উইকেটই পেয়েছেন স্পিনাররা। নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন তিনটি করে, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানভীর ইসলাম দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।

বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান দলে থাকলেও একটি বলও করেননি। বাংলাদেশের সবগুলো ওভারই করেছেন স্পিনাররা।

এর আগে সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানের ১৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটির ভিতে দাঁড়িয়েও ৩০০ করতে পারেনি বাংলাদেশ, থেমেছে ২৯৬ রানে। তবে ওই রানটাই যথেষ্ট হয়েছে বড় জয় পেতে।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ এই ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন সাইফ হাসান-সৌম্য সরকার। ১৭৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে ব্যর্থতা ছিল মিডল অর্ডার ব্যাটারদের।

দলের হয়ে ৭২ বলে ৮০ রান করেন সাইফ। আর মাত্র নয় রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন সৌম্য। ৮৬ বলে ৯১ রান করেন তিনি। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৪ ও তাওহিদ হৃদয় করেন ২৮ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আকিল হোসেন নেন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার স্পিনারদের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৫০ রানের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ক্যারিবীয়ানরা। অ্যালিক অ্যাথানেজ ১৫, ব্রান্ডন কিং ১৮ শাই হোপ ৪ ও রানের খাতা খোলার আগেই আকিম অগাস্ট সাজঘরে ফিরে যান। এরপর আর বিপর্যয় সামাল দিতে পারেনি সফরকারীরা। নাসুম, রিশাদদের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩০ ওভার ১ বলে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন আলিক হোসেন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর)  ৭৪ রানের জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে বুধবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে মাত্র এক রানে হেরে যায় টাইগাররা। ফলে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ছিল অলিখিত ফাইনাল। এমন ম্যাচেই দাপুটে জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.