শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

বিতর্কিত উপদেষ্টাদের নির্বাচনের আগে সরে যেতে হবে: আমীর খসরু

কলিকাল প্রতিনিধি

ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা যেসব উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, নির্বাচনের আগে তাদের সরকার থেকে চলে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আমীর খসরু এ কথা বলেন। এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, যেহেতু নির্বাচনের আগে আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না, সেহেতু এই সরকারকে শিগগিরই কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।

সুন্দর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা ভালো পরিবর্তন প্রত্যাশা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘একটা সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা চাই একটা ভালো পরিবর্তন। যারা সরকারে আছেন, অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি আমাদের সম্মান আছে, ওঁনাদের তো সম্মানের সঙ্গে যেতে হবে। আমরা সেটা চাই। কিন্তু কিছু লোকের কার্যকলাপের মাধ্যমে সেটা বিঘ্নিত হতে পারে। এ জন্য বলি, পুরোপুরি কেয়ারটেকার সরকারের মুডে চলে যান। যাঁদের নিয়ে বিতর্ক আছে, এই লোকগুলোকে চলে যেতে হবে। সেখানে থাকলেই সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ, পুরোপুরি নিরপেক্ষ অবস্থানে যাওয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের ভেতরে–বাইরে যাঁদের নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করার সুযোগ আছে, তাঁদের রেখে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা যাবে না। এই প্রশ্ন আসছে বিভিন্ন কারণে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা এ সরকারের বেশ কিছু পদে পদায়নের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছেন। তাই যাদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অথবা যারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন অথবা যাঁরা কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা সরকারে থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ভূমিকা, তা ব্যাহত হতে পারে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চরিত্র কী হবে, তা সংবিধানে বলা আছে উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন,এই সরকারই আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। তাই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ভূমিকা দেওয়া আছে বা বলা আছে, সে বৈশিষ্ট্য এখন থেকে তাদের সব কর্মকাণ্ডে থাকতে হবে। এখন তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া উচিত নয় বলেও মনে করেন আমীর খসরু।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নিরপেক্ষতা হচ্ছে নির্বাচনের প্রথম পূর্বশর্ত। এ জন্য আমরা ১৭ বছর লড়াই করেছি, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। নিরপেক্ষতা না থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, এটা সবাই জানে। নিরপেক্ষতা না থাকলে অশুভ শক্তিগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির বিভিন্ন নেতা।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.