শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

বেবিচক চেয়ারম্যান বললেন

‘ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে মনে হচ্ছে’

কলিকাল প্রতিনিধি

ছবি : দৈনিক কলিকাল

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। অনেকগুলো সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তাদের তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত ও সুনিশ্চিত কারণ জানা যাবে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বেবিচক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগুনের সময় ১৫টি ফ্লাইট ভিন্ন ভিন্ন রুটে পাঠানো হয়েছে। আর এ সময় বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যত যাত্রী আটকে পড়েছিলেন তাদের পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের আরও দল যোগ দিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আনুমানিক দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনাল—বিশেষ করে ইমপোর্ট কার্গো টার্মিনাল এলাকায়—আগুনের সূত্রপাত ঘটে। প্রথমে টাওয়ার থেকে ধোঁয়া দেখা যায়, এরপর খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত হয় ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে। তবে এটি এখনো তদন্তাধীন বিষয়। একাধিক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। সঠিক কারণ তারা বের করবেন। নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, আগুনের সময় উত্তর পাশে বিমানের হ্যাঙ্গার এবং দক্ষিণ পাশে মূল টার্মিনাল ভবন ছিল, কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় আগুন সেই অংশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েনি। আল্লাহর রহমতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

তিনি জানান, ধাপে ধাপে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়। ১০ মিনিটের মধ্যে বিমানবাহিনীর একে খন্দকার ঘাঁটি থেকে তিনটি ফায়ার ভেহিকল আসে। ২০ মিনিটের মধ্যে বাসার বিমানঘাঁটি থেকেও দুটি ভেহিকল যোগ দেয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০টির বেশি ফায়ার ফাইটিং ভেহিকল আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। বাহিনীগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।

চেয়ারম্যান বলেন, আগুন লাগার সময় টার্মিনালের ভেতরে বেশ কয়েকটি বিমান ছিল। আমরা দ্রুত সেগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি, যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকে। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশেই কাট-অফ মেকানিজম ব্যবহার করে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই বড় বিপর্যয় এড়ানো গেছে বলেও মন্তব্য করেন বেবিচক চেয়ারম্যান।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.