আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে দেশের সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
বৈঠকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। একইসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, র্যাব, আনসার, বিজিবি, কোস্ট গার্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে নির্বাচন আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই ১২টি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:
১. ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণ।
২. ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার।
৩. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা।
৪. আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়।
৫. অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ।
৬. বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা।
৭. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ন্ত্রণ।
৮. পোস্টাল ভোট ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
৯. নির্বাচনকালীন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা।
১০. অনুপ্রবেশকারীদের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ।
১১. দুর্গম এলাকায় নির্বাচনী সরঞ্জাম পরিবহনে বিকল্প ব্যবস্থা (হেলিকপ্টার সহায়তা)।
১২. ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।
ইসি সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনায় প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।






