একক নাটক নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। চলমান সময়ে যেন নির্মাতাদের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন তিনি। একের পর এক অভিনয় করছেন নতুন নতুন গল্পে। প্রতিনিয়তই প্রকাশ পাচ্ছে তার নাটক। গত মাসেই এক এক করে প্রকাশ পেয়েছে তানিয়া অভিনীত একগুচ্ছ নাটক।
প্রকাশিত নাটকগুলোর মধ্যে মিতুল খানের ‘সুইট প্রেমিক’ নাটকটি বেশ সাড়া ফেলেছে। সম্প্রতি তুহিন হোসেনের ‘জয়িতার দিনরাত্রি’ নামের একটি নাটক প্রকাশিত হয়। এতে নামভূমিকায় অভিনয় করেন বৃষ্টি। সোহেল রানা ইমনের ‘এই শহরে মেঘেরা একা’, মিতুল খানের ‘সুইট প্রেমিক’, মুহিন খানের ‘কাবিনের বোঝা’, জাকিউল ইসলাম রিপনের ‘রেগে গেলাম তো হেরে গেলাম’, মেহেদী রনির ‘ত্যাল’, বর্ণ নাথের ‘ওরে চামবাজ’, মেহেদী রনির ‘বড় ভাই’ নাটকগুলো নিয়ে নতুন করে আলোচনায় তিনি।
নাটকগুলোতে তিনি অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, পার্থ শেখ, শামীম হাসান সরকারসহ সময়ের আলোচিত অভিনেতার বিপরীতে। প্রতিটি নাটকে একটু একটু করে বেশ ভালো সাড়া মিলছে। প্রতিটি নাটকের ভিন্ন গল্পে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। নতুন কাজ, গল্প ও চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘গল্প এবং চরিত্রের প্রতি এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছি। নাটকে কাজ করার আগে গল্পটা ভালো হওয়া জরুরি মনে করি।’
তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘সত্যি বলতে এই সময়টাতে আমি অনেক ভালো ভালো গল্পের নাটকে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করার সুযোগ আসছে। এটা আমার জন্য অনেক অনেক ভালো লাগার একটি বিষয়। অনেক কষ্ট সংগ্রামের পর আজ একজন অভিনেত্রী হিসেবে আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটি অবস্থানে আসতে পেরেছি। দর্শক আমার অভিনীত প্রতিটি নাটক প্রবল আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন, আমার অভিনীত নাটক দেখে তারা তাদের ভালো লাগার কথা প্রকাশ করেন এটাই তো আসলে চেয়েছিলাম আমি। দর্শকের জন্যই তো আসলে ভালো গল্পের নাটকে কাজ করার চেষ্টা করি। এখন গল্প নিজের মনের মতো নির্বাচন করতে পারছি। ভালো লাগলে কাজ করছি, ভালো না লাগলে করছি না। এই যে গল্প নির্বাচনে, চরিত্র নির্বাচনে স্বাধীনতাটা, এটা সব শিল্পীই চায়।’ ক্যারিয়ারের শুরুতে সিনেমায় অভিনয় করলেও নাটক নিয়েই এখন তার ভাবনা।
বড়পর্দা নিয়ে অভিনয়শিল্পীদের বাড়তি আগ্রহ থাকলে তানিয়া জানান ভিন্ন কথা। বলেন, ‘নাটকের ব্যস্ততায় এখন সিনেমা নিয়ে ভাবনা নেই। তবে ব্যাটে-বলে মিলে গেলে সিনেমায় দেখা যাবে।’





