জুলাই আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের বাদ দিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার সঙ্গে “চরম প্রতারণা” বলে মনে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এসব কথা বলেন।
এর আগে বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’–এর আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এতে স্বাক্ষর করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা।
তবে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) ও জুলাই আন্দোলনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন।
বিবৃতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, “অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে, সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরুর আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০২৪-এর জুলাই যোদ্ধা আতিকুল গাজীসহ অন্তত ২৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।”
সংগঠনটি অভিযোগ করে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সদস্য আন্দোলনরত যোদ্ধাদের সঙ্গে “অসদাচরণ” করেছেন।
“রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর হলো এই জুলাই সনদ। সেই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের ওপর হামলা শুধু নিন্দনীয় নয়, এটি জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা এবং সরকারের ব্যর্থতার প্রকাশ।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত না করে, জুলাই আন্দোলনের মূল অংশীদারদের বাদ দিয়ে কিছু তথাকথিত রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে সনদে স্বাক্ষর কার্যক্রম সম্পন্ন করা জুলাইয়ের ছাত্র–জনতার সঙ্গে চরম প্রতারণা।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের সঙ্গে বসেই জুলাই সনদের আইনি বৈধতা এবং নোট অব ডিসেন্ট (দ্বিমত)–সংক্রান্ত সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।”






