জুলাই জাতীয় সনদ সই অনুষ্ঠানে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ ওপর পুলিশি হামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেছেন, বিপ্লব এমনিতেই হয়নি বরং এ জন্য অনেক ত্যাগ ও কুরবানির প্রয়োজন হয়েছে। মূলত ছাত্র-তরুণ ও শ্রমিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের কাছে হার মেনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে বিদেশে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এ জন্য রাজপথে অনেকেই জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
শুক্রবার ১৭ অক্টোবর বিকালে রাজধানীর মিরপুরে এক শ্রমিক সমাবেশে জামায়াত আমির ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে মিরপুরের পবর্তা ঈদগাহ মাঠে ঢাকা-১৫ আসনে এ শ্রমিক সমাবেশ হয়। এ আসন থেকে জামায়াত আমিরের আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বারবার দাবি করেছি, জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিন, সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিন, তাদের প্রতি মর্যাদা দেখান। কিন্তু না, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে আজকে (গতকাল) তারা সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নিয়েছে। আমরা শুনেছি এখন সরকার বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। কিন্তু এর মাঝে কিছু অসুন্দর কাজ হয়েছে কি না আমি নিশ্চিত নয়। যদি হয়ে থাকে আমি ব্যথিত, দুঃখিত, লজ্জিত। এরা জালিমের হাতে মার খেয়েছে, আজকে অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশের হাতে যদি মার খায় এই লজ্জা আমি কোথায় রাখব।
শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সরকারকে বলব, দয়া করে নিজেদের দায়িত্বের প্রতি সুবিচার করুন। আমরা আর কাউকে রাস্তায় দেখতে চাই না। আরও অনেকে দাবি-দাওয়া নিয়ে নেমেছে। অনেক দাবি-দাওয়া আর জুলাই যোদ্ধাদের দাবি-দাওয়া এক না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজকে সর্বাঙ্গে ব্যথা, মলম লাগাবেন কোথায়? দুর্নীতিতে এই সমাজ পুরোপুরি ছেয়ে গেছে। আগেও ফ্যাসিজমের সময়ে দুর্নীতি হয়েছে। এখন আরও বিপুল শক্তিতে দুর্নীতি হচ্ছে। কোথাও মানুষের শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই, ইজ্জত নেই।
প্রতিদিন চাঁদাবাজি হচ্ছে, অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। এর তো সমাপ্তি অবশ্যই হতে হবে। জামায়াত আগামীতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পেলে দেশে চাঁদাবাজি, ঘুষ, বরদাশত করা হবে না, দুর্নীতির মূল শেকড় কেটে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।






