এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি আদায়ের জন্য ঢাকা এসেছেন শিক্ষকরা। সরকার সাড়া না দেওয়ায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
রোববার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন তারা। কেউ পলিথিন বিছিয়ে, কেউবা সংবাদপত্রের ওপর শুয়ে রাত কাটাচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগররা। মাথার নিচে নেই বালিশ, শুধু আছে অনিশ্চয়তার প্রতীক্ষা।
চাঁদপুর থেকে আসা শিক্ষক আবদূর রহিম বলেন, ‘শিক্ষকতা করতে এসে সারাটা জীবন কষ্টে কাটলো। এক-দুই রাত বাইরে ঘুমানোর চেয়েও সারা বছর বেশি কষ্টে থাকি। সেই তুলনায় এই কষ্ট কিছুই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অনেক মশা, চারপাশে দুর্গন্ধ। তারপরও যদি এই কষ্টের পর সরকার আমাদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়িয়ে দেয়, আমরা খুশি মনে ক্লাসে ফিরব।’
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘রাতে শহীদ মিনারে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আমরা সবাই এখানে আছি। এবারে খালি হাতে বা শুধু মুখের আশ্বাসে ঘরে ফিরব না।’
তিনি আরও জানান, রাতের পর দিনেও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আগামীকাল থেকে সারাদেশের ৩০ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কেউ ক্লাসে ফিরবে না।
জানা গেছে, দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী বর্তমানে মাসে ১,০০০ টাকা করে বাড়িভাড়া ভাতা পান। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে এই ভাতা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একাধিকবার আশ্বাস দিলেও গত ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে অর্থ মন্ত্রণালয় কেবল ৫০০ টাকা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষকরা এবং রোববার থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।






