বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

বিদেশিদের কাছে লিজে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ টার্মিনাল

কলিকাল প্রতিনিধি

ছবি : দৈনিক কলিকাল

চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এবং বে টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি অপারেটরের নিয়োগ চূড়ান্ত পর্যায়ে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরে এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

রোববার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ও বে টার্মিনাল পরিচালনায় আগামী ডিসেম্বরে বিদেশি অপারেটরের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে। লালদিয়া টার্মিনাল ৩০ বছরের জন্য, বাকি দুটি টার্মিনাল ২৫ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানির হাতে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো টার্মিনালগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, লিড টাইম হ্রাস এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন। দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিদেশি অপারেটরের নিয়োগ ছাড়া এই উদ্যোগে সফল হওয়া সম্ভব নয়।

ইআরএফের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি দৌলত আক্তার, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমুদ্রগামী জাহাজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজম জে চৌধুরী। এতে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার।

সেমিনারে নৌপরিবহন সচিব আরও বলেন, ‘ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশেই এমন বিদেশি অপারেটর আছে। এখন আমরাও সেদিকে যাচ্ছি। তবে এসব চুক্তির সার্বিক বিষয়গুলো প্রয়োজনে আমরা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব।’

বন্দরের মাশুল বাড়ানো প্রসঙ্গেও কথা বলেন নৌপরিবহন সচিব। তিনি জানান, প্রতি পাঁচ বছর পরপর এটা বাড়ানো উচিত ছিল। সেটি করা হয়নি। এখন ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাশুল বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ৪০ বছরের বিরতি শেষে এটি সময়োপযোগী। তিনি আরও বলেন, সমীক্ষার ভিত্তিতে এই মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও এই হার একটু বেশি। তবে যেহেতু কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান; ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। তাই তাদেরও মুনাফার বিষয়াদি থাকায় ঘোষিত মাশুল কমানো সম্ভব নয়।

আজম জে চৌধুরী মনে করান, সমুদ্রগামী জাহাজ খাতে কর অবকাশ সুবিধা ২০৩০ সাল পর্যন্ত ছিল। তা বাতিল হওয়ায় এ খাতে প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চ্যালেঞ্জের মুখে। তিনি এই কর অবকাশ পুনর্বহালের দাবি জানান।

জাইদি সাত্তার উল্লেখ করেন, পোশাক খাতের বাইরে চার-পাঁচটি খাত বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করে। ভবিষ্যতে জাহাজ নির্মাণশিল্পেও ১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য ব্যাংক গ্যারান্টিসহ প্রয়োজনীয় অর্থায়নের সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.