শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

ট্রাম্পের সভাপতিত্বে

গাজায় যুদ্ধের ইতি টানতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আগামীকাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আগামীকাল লসোমবার মিশরে অনুষ্ঠিত হবে।

শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।

মিশরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এই বৈঠকে ২০টিরও বেশি দেশের নেতা অংশ নেবেন।

খবর : আল জাজিরার।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো, গাজা যুদ্ধের অবসান, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার নতুন যুগের সূচনা।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের পেদ্রো সানচেজ এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

এমন এক সময় এই ঘোষণা এসেছে যখন গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি উপকূল ধরে উত্তর গাজায় ফিরে যাচ্ছেন। তারা পায়ে হেঁটে, গাড়িতে করে বা গাড়ি টেনে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ঘরে ফিরছেন।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা আংশিকভাবে গাজা থেকে সরে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধের অবসান ঘটবে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতে এরই মধ্যে ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং গাজা যেন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ গাজা সিটি থেকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি ‌‘সহিংসতার অবসান ঘটিয়েছে, কিন্তু সংগ্রাম এখনো চলছে।’ তিনি বলেন, মানুষ এই ক্লান্তিকর পথে ফিরছেন কারণ এটি তাদের ঘর, তাদের ভূমি। তারা কখনো এখান থেকে উচ্ছেদ হতে চান না।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর পাঁচ হাজারের বেশি জনসেবামূলক কার্যক্রম চালানো হয়েছে, যার মধ্যে গাজা সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ ও পৌরসভা দলগুলো ৮৫০টিরও বেশি উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযান সম্পন্ন করেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানো, মরদেহ উদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছেন তারা।

শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১৫০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, শুধু খান ইউনিস শহরেই ২৮টি মরদেহ পাওয়া গেছে বলে নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন লাইন পুনঃস্থাপনে ৯০০টিরও বেশি সেবা মিশন পরিচালিত হয়েছে।

তবে এই কাজগুলো চলছে ন্যূনতম সম্পদের মধ্যেই। কারণ ইসরায়েলের অবরোধ এখনো বহাল রয়েছে যার কারণে জ্বালানি ও সরঞ্জাম প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ।

খান ইউনিসের মেয়র জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণ গাজার ৮৫ শতাংশ অঞ্চল ধ্বংস হয়েছে এবং শহরের রাস্তা থেকে প্রায় ৪ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.