চলতি বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘিরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল, তা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে পুরস্কৃত করেছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে এই ঘোষণা আসার পর কমিটির চেয়ারম্যান ফ্রাইডনেস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা’ই তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তি, বাইরের কোনো চাপ নয়।
মূলত ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অনবদ্য অবদানের জন্য মাচাদোকে এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প বছরজুড়েই আলোচনায় ছিলেন। এমনকি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ থামিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার দাবি করে তিনি নিজেই এই পুরস্কার চেয়েছিলেন। তার মিত্র দেশগুলোও তাকে মনোনয়ন দিয়েছিল।
মাচাদোর নাম ঘোষণার পর এক সাংবাদিক নোবেল কমিটির চেয়ারম্যানকে সরাসরি ট্রাম্পকে নিয়ে সৃষ্ট ‘চাপের’ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে চেয়ারম্যান ফ্রাইডনেস বলেন, “নোবেল শান্তি পুরস্কারের দীর্ঘ ইতিহাসে নানা প্রচারণা এবং মিডিয়া উত্তেজনা দেখেছে এই কমিটি এবং প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠিও পাওয়া যায়।”
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, এই সব কিছু নোবেল পুরস্কারের জন্য নেওয়া সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে না। তিনি বলেন, “আমরা কেবল এই পুরস্কারটির প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের কাজ এবং ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিই।”
নোবেল কমিটির এই বক্তব্য বিশ্বজুড়ে পুরস্কারটির নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার বিষয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা দিল।






