শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, হেমন্তকাল

ঋতাভরীকে অস্বীকার করেছিলেন তাঁর বাবা!

বিনোদন ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

টালিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। শুধু ছোট পর্দা ও ওয়েব সিরিজের জগতে নয়ম বড় পর্দাতেও নিজের অভিনয় দক্ষতায় জায়গা করে নিয়েছেন। কাজের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষ করে মা শতরূপা সান্যাল ও বাবার বিচ্ছেদ নিয়ে নেটদুনিয়ায় আলোচনা থামেনি কখনও। এবার সে প্রসঙ্গেই খোলাখুলি কথা বললেন অভিনেত্রী।

ঋতাভরীর যখন বয়স মাত্র চার, তখন আলাদা হয়ে যান বাবা উৎপলেন্দু চক্রবর্তী ও মা শতরূপা সরকার। সম্প্রতি ‘স্টে আপ উইথ শ্রী’ অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতী জানান, বাবা-মায়ের আলাদা হয়ে যাওয়া তার ছোটবেলার বাস্তবতা ছিল। কিন্তু সে সময়ও তিনি নিজেকে মানিয়ে নেন।

ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, যখন দাদুর বাড়িতে থাকতে শুরু করলাম, আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। কারণ, ছোটবেলা থেকেই সে বাড়িতে ঘন ঘন যেতাম। তাই পরিবেশটা আমার কাছে নতুন ছিল না। মাকে কখনও হাউমাউ করে কাঁদতে দেখিনি, তবে দুই ঘরের বাড়িতে কতটা লুকিয়ে কষ্ট পাওয়া যায়? যা শোনার ছিল, তা কানে এসেছে, যা বুকে লাগার, তা লেগেছে।

অভিনেত্রী আরও জানান, ছোটবেলায় একজন তাকে সহানুভূতির সুরে জিজ্ঞেস করেছিলেন- বাবার কথা মনে হয় না? উত্তরে ছোট্ট ঋতাভরী বলেছিলেন, আমার মায়ের নামও শতরূপা সান্যাল, আমার বাবার নামও শতরূপা সান্যাল।

এ বক্তব্য নিয়ে অনেকেই ধরে নেন, ঋতাভরী তার বাবাকে অস্বীকার করছেন। কিন্তু সে ধারণা একেবারে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমি কখনও আমার বাবাকে অস্বীকার করিনি। আমি মায়ের কষ্টকে অস্বীকার করতে পারি না। কেউ যদি মাকে কষ্ট দেয়, তাকে আমি মাথায় করে রাখতে পারব না।

ব্যক্তিগত জীবনের এ খোলামেলা প্রকাশে অনুরাগীরা নতুন করে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রীকে। অনেকের মতে, ঋতাভরীর এ পরিণত মন্তব্যই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

কলিকাল | সত্য-সংবাদ-সুসাংবাদিকতা
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.