শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টান টান উত্তেজনা ও শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। আর এ জয়ের পুরো কৃতিত্বটাই তানভীর ইসলামের। তার দুর্দান্ত বোলিং সেটি সম্ভব করেছে। টাইগাররা জিতেছে ১৬ রানে। বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার (৫ জুলাই) রাতে জয় থেকে অনেকটা দূরে থেকেও একপ্রাপ্ত আগলে রেখে দুনিথ লিয়ানাগে ম্যাচ প্রায় বেরই করে ফেলেছিলেন। অবশেষে ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে থামান মোস্তাফিজুর রহমান। লিয়ানাগে যখন ক্রিজে ছিলেন, ম্যাচ তখন স্বগতিকদের দিকেই হেলে পড়ছিল।

ডানহাতি এ লঙ্কান ব্যাটার ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কাও হাঁকান মোস্তাফিজকে। ১৭ বলে তখন দরকার মাত্র ২১ রান, হাতে ২ উইকেট। পরের বলেই ফিজ স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করেন, ফিরতি ক্যাচে ফেরান লিয়ানাগেকে। তাতে অনেকটাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে বাংলাদেশ। এরপর দুশমন্ত চামিরাকে বোল্ড করে শেষ টানেন তানজিম সাকিব।

এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (০৮ জুলাই)।

এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারের আগেই অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। তবে পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়ের হাফ-সেঞ্চুরিতে কোনোমতে লড়াই করার মতো রান করেছে সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে ২৪৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।

টাইগারদের এ জয়ের সবচেয়ে বড় আবদান বা-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। তার আক্রমণাত্মক ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে যায় লঙ্কান ব্যাটাররা। অঅর তাতেই জয় স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

তানভীর বলেন, প্রথম দুই ওভারে যখন ২২ রান খাইছি, ক্যাপ্টেন আমার পাশে এসে বলল, তানভির, বোলাররাই মার খায়, তুই পারবি। আমি তোকে একটা বিশ্বাস দিলাম, তুই সর্বোচ্চ চেষ্টা কর। তোর ডিফেন্সিভ বোলিংয়ের কোনো প্রয়োজন নাই। তোর উইকেট টেকিং বোলিং করতে হবে। ক্যাপ্টেনের কথামতো চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো কিছু হইছে।

শুরুটা ভালো না হলেও, শেষমেষ বেশ ইকোনমিক্যাল বোলিংয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তানভীর। প্রথম ২ ওভারে ২২ রান দেওয়া এই স্পিনার পরের ৮ ওভারে দুটি মেডেন নেন। একইসঙ্গে মাত্র ১৭ রান খরচায় শিকার করেন ৫ উইকেট। ওপেনার নিশান মাদুশকা থেকে শুরু করে কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, দুনিথ ভেল্লালাগে ও মহেশ থিকশানাকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের পাল্টা আক্রমণের পথ বন্ধ করে দেন তানভীর।

নিজেদের ব্যাটিং শেষেই সবার মাঝে ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল বলেও জানান তিনি। তানভীর বলেন, প্রথমে আমরা যে রানটা করলাম, ক্যাপ্টেন এবং ম্যানেজমেন্টের যারা ছিল, সবাই বলছিল এ রানটা আমরা ডিফেন্ড করতে পারব। আমাদের সবার ভেতর ক্যাপ্টেন এবং ম্যানেজমেন্ট এত কম রানে জয়ের এইবিশ্বাসটা দিয়েছে, সবারই ধারণা ছিল আমরা পারব।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১