মায়ামিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি

ক্রীড়া ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

ক্লাব বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি স্বপ্ন দেখেছিল নতুন ইতিহাসের। তবে শেষ পর্যন্ত দুঃস্বপ্নই সঙ্গী হল তাদের। সাবেক ক্লাব পিএসজি’র বিপক্ষে শেষ ষোলোতে ৪-০ গোলের বড় হারে বিদায় নিতে হলো আর্জেন্টাইন মহাতারকার দলটিকে।

রোববার (৩০ জুন) রাতের মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে মেসি ছিলেন মাঠে, ছিলেন তাঁর পুরনো সতীর্থ সার্জিও বুসকেটস, জর্ডি আলবারাও। কিন্তু তাতে কিছুই হলো না। খেলা শুরুর মাত্র ছয় মিনিটেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। এরপর একে একে আরও তিনবার জাল কাঁপায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

প্রথম ৪৫ মিনিটে পিএসজির আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের গতি ও স্কিলের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগকে। একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা মিয়ামির রক্ষণকে। ম্যাচের ৬ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় পিএসজি। বাঁ দিক থেকে আশরাফ হাকিমির বাড়ানো ক্রসে জোরালো শটে গোল করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস। এর ঠিক পরেই ফের আক্রমণে ওঠে পিএসজি। তবে গোলের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় বেশ কিছুক্ষণ। ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। এবার নিচু শটে মায়ামি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন নেভেস।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে কিছুটা গুটিয়ে যায় মায়ামি। তবে পিএসজির আক্রমণের ধার তাতে কমেনি। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ হয়ে যায় আত্মঘাতি গোলে। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ফিরতি বল টোকা মেরে পিএসজির হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন হাকিমি।

বিরতির পর ইন্টার মায়ামি কিছুটা গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে। মাঝমাঠে লিওনেল মেসি কিছুটা সক্রিয় হলেও পিএসজির জমাট রক্ষণ ভেদ করতে ব্যর্থ হন তিনি ও তার সতীর্থরা। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বেশ কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন করে। ম্যাচের ৬১ মিনিটে জোয়াও নেভেসের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন উসমান দেম্বেলে। আরও কিছু সুযোগ তৈরি হলেও ব্যবধান বাড়েনি। কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ হবে ফ্লামেঙ্গো অথবা বায়ার্ন মিউনিখ।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার