ইসরায়েলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। ইরান থেকে এ হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। তিনি তেহরানে জোরালো হামলার নির্দেশ দেন। তবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়নি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েল অভিযোগ করেছে যে ইরান যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে (আইডিএফ) নির্দেশ দিয়েছেন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কঠোর জবাব দিতে। তেহরানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইরানি সরকারঘনিষ্ঠ লক্ষ্যে তীব্র হামলা চালাতে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। তারা বলেছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা “হুমকি প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে”। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে বলেছে তারা।
ইসরায়েলের মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে ইরান। ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে হামেদান প্রদেশে তাদের আটক করা হয়। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) স্থানীয় কর্মকর্তা আলী আকবর করিমপোর বলেছেন, হামেদান, রেজান ও নাহাভান্দ থেকে ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ আটক করা হয়েছে।
আলী আকবর করিমপোর আরও বলেন, তারা অনলাইনে বিভিন্ন জনকে লক্ষ্যবস্তু করে কাজ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, ইরানের শাসনব্যবস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ১৩ জুন ইরান ও ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর থেকে মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরান বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।