বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের ব্যাপারে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তবে উচ্চকক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার (২২ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অধিবেশনে আরো আলোচনা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মুলতবি সংলাপের দ্বিতীয় অধিবেশনে এ অগ্রগতি হয়।
সংলাপ সূত্রে জানা গেছে, উচ্চকক্ষের জন্য ১০০ সদস্য রাখার বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। একই সঙ্গে ‘উচ্চকক্ষ’ নামটি নিয়েও প্রাথমিকভাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দলগুলো।
উচ্চকক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর অবস্থান:
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পক্ষে: এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি, গণঅধিকার পরিষদসহ অধিকাংশ দল উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচন সম্পূর্ণ সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে করার পক্ষে মত দিয়েছে।
উভয় কক্ষেই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন: জামায়াতে ইসলামী চায়, দুই কক্ষেই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু হোক।
নিম্নকক্ষের ভিত্তিতে নির্বাচন: বিএনপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএমসহ কয়েকটি দল উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ করতে নিম্নকক্ষের আসন বণ্টনের ভিত্তিতে নির্বাচন চায়।
এছাড়া কিছু দল উচ্চকক্ষে পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, সংখ্যালঘু ও বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কথাও উত্থাপন করেছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আসেনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববারের বৈঠকে নির্বাচন পদ্ধতি, উচ্চকক্ষের ভূমিকা এবং এখতিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।