শপথ না নিয়েই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন সরকারি কাজে বাধা দেয়ার মতো ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা আসিফ।
নাগরিক সেবাদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন নগর ভবনের মিলনায়তন ও অফিস দখল করে নাগরিক সেবাদানে বাধা দিচ্ছেন। ইশরাক হোসেনের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে নাগরিক সেবাদান করা শতভাগ বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
যেহেতু বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখার সদিচ্ছা আছে, তাই সরকার সেখানে সদিচ্ছা দেখাচ্ছে এবং ধৈর্য্য ধরছে জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ইশরাক হোসেন অফিসিয়ালি কোনো দায়িত্ব নেননি। এমতাবস্থায় নাগরিক সেবা বিঘ্নিত করা আরও বাড়লে অবশ্যই আমাদেরকে বাধ্য হয়ে কোনো কঠোর ব্যবস্থায় যেতে হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আসিফ মাহমুদ।
এক্ষেত্রে এমন ‘ক্রিমিনাল অফেন্সের’ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আইনি কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না এমন প্রশ্নে এই উপদেষ্টা জানান, বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন রয়েছে।
এদিকে দুদিন ধরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যালয় নগর ভবনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সভায় অংশ নিচ্ছেন ইশরাক হোসেন। সিটি করপোরেশনের যেসব সভায় তিনি অংশ নিচ্ছেন সেগুলোর ব্যানারে তাকে ‘মাননীয় মেয়র’ হিসেবে সম্বোধন করা হচ্ছে। এসব সভা আবার সিটি করপোরেশনের কার্যালয় নগর ভবনের ভেতরে অবস্থিত মিলনায়তনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু আইনানুযায়ী শপথ না নিয়ে এই বিএনপি নেতা মেয়রের এমন সব দায়িত্ব পালন করতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।