অমুসলিমদের সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই দ্বিধায় পরে যাই। তাদের সালাম দেয়া যাবে কি-না, সেই বিষয়ে থাকি সংশয়ে।
অমুসলিম আত্মীয়, প্রতিবেশী ও সহকর্মীকে অথবা কোনো প্রয়োজনে যেকোনো অমুসলিমকে সামাজিক পদ্ধতিতে অভিবাদন জানাতে কোনো অসুবিধা নেই। যেমন : গুড মর্নিং, গুড ইভিনিং, গুড নাইট এজাতীয় সৌজন্যবাক্য বলা। এই অভিবাদনটা হবে সামাজিক সৌজন্য ও মানবিক সদাচরণ থেকে। তার বিশ্বাস বা মতের বিষয়টি আপন জায়গায় থাকবে। অভিবাদন জানানো মানেই তার বিশ্বাস বা মতকে মেনে নেওয়া নয়।
তবে মুসলমানদের পারস্পরিক দু’আবাক্য– ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে আগ বাড়িয়ে অমুসলিমকে অভিবাদন জানানো যাবে না। কেননা সালাম একটি ইসলামি সংস্কৃতি এবং শরিয়ত নির্ধারিত আমল ও ইবাদত। তাই কেবল শরিয়ত নির্ধারিত ক্ষেত্রেই তা আমলযোগ্য।
রাসুল সা. বলেন :
لَا تَبْدَءُوا الْيَهُودَ وَلَا النَّصَارَى بِالسَّلَامِ
‘ইহুদি-খৃষ্টানদেরকে তোমরা প্রথমে সালাম দেবে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৬৭; তিরমিযি, হাদিস: ১৬০২)।
তবে কোনো অমুসলিম সালাম দিয়ে ফেললে তার উত্তরে ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে। রাসুল সা. বলেছেন :
إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَقُولُوا وَعَلَيْكُمْ
“যদি কোনো আহলে কিতাব (ইহুদি-খৃষ্টান) তোমাদেরকে সালাম দেয়, জবাবে বলবে, ‘ওয়া আলাইকুম’ অর্থাৎ (তোমাদের উপরেও) ।” (বুখারি, হাদিস: ৫৯০৩; মুসলিম, হাদিস: ২১৬৩)।
উল্লেখ্য, অমুসলিমদেরকে সালাম এবং তাদের সালামের উত্তর না দিলে যদি জুলুম বা ক্ষতির আশঙ্কা হয়, সেক্ষেত্রে জুলুম থেকে বাঁচতে তাদেরকে সালাম দেওয়া এবং তাদের সালামের উত্তর দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সূত্র : রদ্দুল মুহতার: (৬/৪১২); আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ: ১০/৩০৮; শায়খ উসাইমিন, মাজমূউ ফাতাওয়া: ৩/৩৫।