পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত দর্শনীয় স্থানগুলো

ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে দর্শনীয়স্থানগুলো। সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে ঈদের দিন থেকেই পর্যটকের ঢল নামে। বান্দরবনের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দশূনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। তবে, রাঙামাটিতেও পর্যটক বেড়েছে। আজ থেকে পুরোপুরি জমে উঠার আশা সংশ্লিষ্টদের।

ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। দীর্ঘ ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে গেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। হোটেল, মোটেল ও রির্সোটগুলোতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়েছে। ঈদের দিন সৈকতের ডায়বেটিকস পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়।

কেউ সাগরে গা ভাসিয়েছেন, কেউবা গাইছেন গান, আবার প্রিয়জনের হাত ধরে খালি পায়ে নোনা জলের তীর ঘেঁষে হাটছেন। কেউ ছবি তোলায় ব্যস্ত তো কেউ জেটস্কি-বিচ বাইক চালাচ্ছেন। ঘোড়ার পিঠে সাওয়ারী হতে দেখা নেছে অনেককে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে, দীর্ঘ দিন পর চেনা রূপে ফিরেছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। উপচে পড়া ঢল নেমেছে প্রকৃতির এই লীলাভূমিতে। ঈদের দীর্ঘ ছুুটি উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণ পিপাসুরা পরিবার পরিজন নিয়ে ভীড় করছে মেঘলা, নীলাচল, চিম্বুক, তমা তুঙ্গী, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, দেবতাকুম, নাফাকুম, রেমাক্রীসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে।

পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে চাঁদের গাড়ীতে করে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে। কেউ বা ছুটে যাচ্ছে ঝর্ণার পানিতে গা ভেজাতে। কেউ বা যাচ্ছে পাহাড়ের চুড়ায় মেঘ ধরতে। আবার কেউ বা যাচ্ছে পাহাড়ী পল্লীতে তাদের জীবন ধারা উপভোগ করতে। আর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে ক্যামেরা বন্দী করছেন তারা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ।

অপরদিকে, রাঙামাটিতেও পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে সুভলং ঝর্না, পল্ওয়ে র্পাক, সেনাবাহিনী আরন্যক, কাপ্তাই আসাম বস্তি সড়ক, উপজাতিদের গ্রাম সর্বত্রই সাজ সাজ রব। ইতিমধ্যে হোটেল মোটলের ৮০ থেকে ৯০ভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আগামীকাল থেকে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের ঢল নামবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।

মন্তব্য করুন

এ বিভাগের আরও খবর

ফটোগ্যালারী

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার