কলিকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫ | ৩:৫৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যে নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পাশের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় আশপাশে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, নকুগাঁও পয়েন্টে ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান বলেন, পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ভারতের দুটি প্রদেশে বৃষ্টি এবং এই অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের ফলেই এই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাঁধগুলোতে নিয়মিত নজরদারি রাখছি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে, যা জনজীবন ও কৃষি খাতে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
জেলা কৃষি বিভাগ ইতোমধ্যে কৃষকদের পাকা ধান দ্রুত কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ৯২ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। গতকাল জেলার তিনটি উপজেলায় নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। বৃষ্টির জন্য কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ক্ষেতে নামানো যাচ্ছে না। কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে ইতোমধ্যেই মাইকিং করা হয়েছে। আশাকরি এক সপ্তাহের মধ্যেই সব ধান কাটা শেষ হবে।
ঝিনাইগাতীর ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বৃষ্টি ও উজানের পানির তোড়ে নদ ও নদী গুলোতে পানি বাড়লেও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।