আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড | কলিকাল
মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ৩ আষাঢ় ১৪৩২ ২০ জিলহজ ১৪৪৬

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

কলিকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৫ | ১০:৪২ এএম

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

ছবি : সংগৃহীত

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মামলায় হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, দুই ছেলেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি, মেডিকেল রিপোর্ট, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য এবং মামলার মৌখিক ও দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। সাক্ষ্য ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে প্রধান আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে শিশু নির্যতন দমন মামলার রায় আইনের ৯ এবং ২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল আলোচিত মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি করে ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার।

প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে গত ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। এ ঘটনার পর মাগুরাসহ সারা দেশের মানুষ প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

এরপর ফরিদপুর মেডিকেল এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় শিশুটি।

এ ঘটনার পর পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলার মূল আসামি হিটু শেখ ১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। যেখানে এ ঘটনায় সে একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়। ১৩ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আলাউদ্দিন সরদার শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোনজামাই সজীব শেখ ও সজীবের বড় ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

২৩ এপ্রিল চার্জ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ২৭ এপ্রিল বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে সাক্ষীর কার্যক্রম শুরু হয়ে ৭ মে অষ্টম কার্যদিবসের মধ্যে সাক্ষ্য পর্ব শেষ হয়। ৮ মে আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ ছাড়া ১২ ও ১৩ মে যুক্তিতর্ক শেষে ১৭ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত।

মন্তব্য করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

Archive Calendar

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930