আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫ | ৯:৫৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে টানা ১৯ দিন চরম উত্তেজনার পর এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। এই ১৯ দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার বড় ধরনের সংঘাতেও জড়িয়েছে চিরবৈরী দুই দেশ। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের’ জবাবে পাকিস্তান চালিয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’, অনেকের মতে যেখানে সামরিকভাবে এক প্রকার পর্যুদস্ত হয়েছে ভারত।
মাত্র দিন তিনেকের সংঘাতে অত্যাধুনিক রাফালসহ হাফ ডজন যুদ্ধবিমান হারিয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের গুদামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর আছে। এক কথায়, চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরনের দূর্বলতা প্রকাশ পেয়ে গেছে দেশটির। তবে, এমন দাবি মানতে একেবারেই নারাজ তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বরং, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’ অকল্পনীয়ভাবে সফল হয়েছে বলেই দাবি করছেন তিনি। একইসঙ্গে পাকিস্তানে আরও বড় ধরনের সামরিক অভিযান হবে বয়লে হুঙ্কারও দিয়ে রেখেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
শুক্রবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএনআই।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের পর থেকে নিয়ম করে বিভিন্ন সেনাঘাঁটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন ভারতের কেন্দ্রীয় নেতারা। শুক্রবার একদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গেছেন পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে, অন্যদিকে গুজরাটের ভূজ বিমানঘাঁটি পরিদর্শনে গেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
প্রসঙ্গত, পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অপারেশন সিঁদুর পর্যন্ত ভারতের নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধী দলগুলো। সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতিও দাবি করা হয়েছে। দুই দাবির কোনোটিই এখন পর্যন্ত মানা হয়নি। দুটি সর্বদলীয় বৈঠকের একটিতেও হাজির ছিলেন না মোদি। সংসদের অধিবেশন ডাকা নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি; তবে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে দল হিসেবে বিজেপি ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য প্রচার করতে দেশব্যাপী তেরঙা যাত্রা শুরু করা হয়েছে। ১১ দিন ধরে চলবে এই যাত্রা। পাশাপাশি ভারত সরকার ঠিক করেছে, পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও কোণঠাসা করতে বিভিন্ন দেশে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। সংসদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে এসব প্রতিনিধিদল গড়া হবে।