কলিকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ১:৩০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
কোরবানির ঈদের আগেই বাজারে ছাড়া হবে নতুন নকশার টাকা—এমন প্রস্তুতিই নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুই টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন মূল্যমানের নতুন এসব নোটে থাকবে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত গ্রাফিতির চিত্র।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের নয় মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন নকশার নোট বাজারে আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে গত ঈদুল ফিতরেও নতুন নোট ছাড়া হয়নি। ফলে পুরোনো, ছেঁড়া ও ক্ষতিগ্রস্ত নোট হাতবদলের পরিমাণ বেড়েছে। রাজধানীর মতিঝিল ও গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকরা এসব নোট পরিবর্তনের জন্য বাড়তি অর্থ গুনতে বাধ্য হচ্ছেন।
ব্যাংকে গিয়ে ছেঁড়াফাটা নোট পরিবর্তন করতে গেলে গ্রাহকদের পড়তে হচ্ছে নানা নিয়ম-কানুন ও জটিলতার মুখে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, সাধারণত নতুন নোট ছাপাতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। তবে গ্রাহকদের ভোগান্তি বিবেচনায় কোরবানির ঈদের আগেই সীমিত পরিসরে নতুন নোট ছাড়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর নতুন নোটের চাহিদা থাকে প্রায় ১৫০ কোটি পিস, অথচ টাকশালের সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ১২০ কোটি পিস ছাপার।