কলিকাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২:১৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল যেন থামছেই না। নতুন করে প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত শনিবার পর্যন্ত নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।
ইতোমধ্যে যৌথভাবে তাদের আঙুলের ছাপও নিয়েছে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন। এদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়াল অন্তত ১৩ লাখ ১৩ হাজারে। তবে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আইরিশের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের অনুমতি এখনও দেয়নি সরকার।
নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। গত সপ্তাহে তারা শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়কে এ চিঠি দেয়।
গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার এবং আরও ৫ হাজার ৯৩০ জন আলাদাভাবে বাংলাদেশে এসেছে। নতুন আসা রোহিঙ্গারা ২৯ হাজার ৬০৭টি পরিবারের সদস্য।
বাংলাদেশের সীমান্তে নজরদারি থাকা সত্ত্বেও এসব মানুষ ঢুকে কক্সবাজারের ২০টি ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ নারী।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, পৃথক ঘর না হলে অন্তত দোতলা ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে। সংস্থাটি ক্যাম্পে তাদের বিদ্যমান অবকাঠামোর তালিকাও সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। তবে সরকার এখনো লিখিতভাবে কোনো সাড়া দেয়নি।
নতুন রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী নারী ৩ হাজার ৮৯০ জন ও পুরুষ ৩ হাজার ৯৩০ জন। ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী নারী ২৭ হাজার ১৭৩ জন ও পুরুষ ১৯ হাজার ৮২৫ জন। শিশুদের মধ্যে এক বছরের নিচে নারী ১ হাজার ২৯০ জন, পুরুষ ১ হাজার ৩২০ জন।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে কক্সবাজার ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের চেষ্টার পাশাপাশি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রতিশ্রুত সহায়তা কমে আসায় সংকট আরও গভীর হচ্ছে।