আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১২:৫৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জম্মু কাশ্মীরে পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৮ জন নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। ক্রমবর্ধমান এ উত্তেজনা পরমাণু শক্তিধর দুই দেশকে শেষ পর্যন্ত সামরিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয় কি না তা নিয়ে ভাবছে পর্যবেক্ষকরা। কারণ, পেহেলগামের ঘটনার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হচ্ছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এনিয়ে টানা চাররাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এনডিটিভি বলছে, জম্মু ও কাশ্মিরে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর টানা চতুর্থ রাতেও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে বিনা উসকানিতে পাকিস্তানি সেনারা গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ২৭-২৮ এপ্রিল রাতের মধ্যে কুপওয়ারা ও পুঞ্চ জেলার বিপরীত পাশে পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি থেকে বিনা উসকানিতে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। ভারতীয় সেনারা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে তার ‘জবাব’ দিয়েছে। প্রথমবারের মতো পুঞ্চ সেক্টরেও পাকিস্তানের সেনারা সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এ গোলাগুলির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।