কলিকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৭:১৪ এএম
ছবি : সংগৃহীত
বহু প্রতীক্ষার পথ পেড়িয়ে অবশেষে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে এভাবে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা হবে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
গতকাল রোববার (২৭ এপ্রিল) রাত ৮টা ৮ মিনিটে ৬০ টন গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে মেক্সিকান কার্গো এয়ারলাইন মাস এয়ার এবং গ্যালিস্টেয়ার-এর যৌথ মালিকানার একটি এয়ারবাস সিলেট থেকে স্পেনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
কার্গো ফ্লাইটটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
এদিকে, ঢাকার পর সিলেটে থেকে এ ফ্লাইট শুরু হওয়ায় খুশি রফতানিকারকসহ সিলেটের ব্যবসায়ীরা। প্রথম ফ্লাইটে রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির গার্মেন্টস সামগ্রী।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, সিলেটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক মাইলফলক। আমরা সকলে মিলে একত্রে কাজ করছি বলে এটা সম্ভব হয়েছে। সিলেটের জন্য আজ ঐতিহাসিক দিন। ঢাকার বাইরে সিলেট থেকে স্বাধীনতার পর এটি প্রথম কার্গো ফ্লাইট। আমরা আমাদের সক্ষমতা কাজে লাগিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ফ্লাইট অব্যাহত থাকে সেজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
স্বাগত বক্তব্য দেন ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ প্রমুখ। এর আগে উপদেষ্টা কার্গো কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন।
এর আগে, রোববার বিকেল পৌনে ৫টায় ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছায় কার্গো ৩৩০ ফ্লাইট। এটি অবতরণের পর শুরু হয় পণ্য লোডের কার্যক্রম। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬০ টন মালামাল লোড করা হয়। লোড হ্যান্ডেলিংয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ এয়ারলাইস কর্তৃপক্ষ। আর নিরাপত্তা দেন বেবিচক কর্মীরা।
উল্লেখ্য, সিলেট থেকে আগে যাত্রীবাহী বিমানে কিছু পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হতো। রোববার থেকে শুরু হলো কার্গো ফ্লাইট। কার্গো ফ্লাইটের মালামাল রাখার জন্য ২০২২ সালে ১০০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয় এ বিমানবন্দরে। ওই বছর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও লাভ করে। কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার সুবিধার্থে এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস), ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন ও এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেকশন মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এবং মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।