আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১:৩৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশ নিতে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের শতাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, রাজা-রানী, প্রধানমন্ত্রী এবং লাখো সাধারণ মানুষ।
৮৮ বছর বয়সে সোমবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পোপ ফ্রান্সিস মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন প্রথম লাতিন আমেরিকান ও ১৩০০ বছরের মধ্যে প্রথম ইউরোপের বাইরে থেকে নির্বাচিত পোপ। তার ১২ বছরের নেতৃত্বে ক্যাথলিক চার্চে এসেছে নানা পরিবর্তন- তিনি ছিলেন গরিবদের বন্ধু এবং অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন।
তার শেষকৃত্যে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি অতীতে পোপের সঙ্গে নানা ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন।
এছাড়া আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, ইউক্রেনসহ আরো অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত রয়েছেন। ইউরোপের অনেক রাজপরিবারের সদস্যরাও শ্রদ্ধা জানান।
গত তিন দিনে প্রায় ২.৫ লাখ মানুষ পোপের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে, যা রাখা ছিল সেন্ট পিটার্স বাসিলিকার ভিতরে। শনিবার সকাল ১০টায় তার কফিনটি গির্জার বাইরে আনা হয় এবং খোলা জায়গায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ৯১ বছর বয়সী কার্ডিনাল জিওভান্নি বাত্তিস্তা রে।
শত শত মানুষ রাতভর ভ্যাটিকানে অবস্থান করেন সামনে জায়গা পাওয়ার আশায়। স্পেন থেকে আসা তীর্থযাত্রী মারিয়া ফিয়েরো বলেন, আমরা সারারাত অপেক্ষা করেছি। তার শেষ যাত্রায় থাকতে পারাটা খুবই আবেগঘন।
পোপ ফ্রান্সিসের ইচ্ছানুযায়ী তাকে ভ্যাটিকানের বাইরে রোমের ‘সেন্ট মেরি মেজর’ গির্জায় সমাধিস্থ করা হবে। তার সমাধিতে শুধু ‘Franciscus’ লাতিন ভাষায় খোদাই করা হয়েছে, আর উপরে ঝুলছে তার ব্যবহৃত লোহার ক্রসের একটি অনুরূপ।
শেষবারের মতো রোম শহর প্রদক্ষিণ করে তার মরদেহকে নিয়ে যাওয়া হবে, যেন রোমবাসীরা বিদায় জানাতে পারেন।
পোপের দাফনের পর শুরু হবে নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া। ৬ মের আগে গোপন ভোটাভুটির জন্য ‘কনক্লেভ’ শুরু হবে না। কার্ডিনালরা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন কে হবেন ক্যাথলিক চার্চের পরবর্তী নেতা।
সূত্র: রয়টার্স