আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১১:৩৭ এএম
ছবি : সংগৃহীত
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও সফর করবেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেভিট জানান, আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে মধ্যপ্রাচের এই তিন দেশ সফর করবেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প যখন আগামী মাসে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাবেন, তখন তিনি এমন এক মধ্যপ্রাচ্য দেখবেন, যা আট বছর আগে তার প্রেসিডেন্সির প্রথম মেয়াদে দেখা মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় অনেকটাই আলাদা।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সফর সূচিতে ইসরায়েলের নাম না থাকায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
সূত্র জানায়, মে মাসে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব নির্দেশনা। ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরে থাকা ব্যবসামুখী নীতিনির্ধারকেরা এই সফরকে দেখছেন বিনিয়োগ আনার পথ হিসেবে, আবার একইসঙ্গে এক আঞ্চলিক এজেন্ডা নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবেও।
উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই ঘনিষ্ঠতা কেবল নিরাপত্তার জন্য নয়। জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা, উচ্চপ্রযুক্তি খাতে অংশীদারিত্ব গড়ার এবং প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করাও এ পরিকল্পনার অংশ।
সৌদি আরব সফরে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প জানান, তিনি তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিতে তার সফরের মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য।
ট্রাম্প আরো বলে, আমি বলেছিলাম আপনারা (সৌদি আরব) যদি আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে এক ট্রিলিয়ন ডলার দেন, চার বছরের জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলারে ক্রয় করতে সম্মত হন তাহলে আমি যাব। তারা এটি করতে সম্মত হয়েছে, তাই আমি সেখানে যাচ্ছি। ’