কলিকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮:৫২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকায় নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সমস্যার নগরী ঢাকা: সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক নগর সংলাপে তিনি এ কথা জানান।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ ভবনের নির্মাণকাজ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হবে। প্রথম ধাপে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফৌজদারি মামলা দায়ের, নকশা বাতিল এবং প্রয়োজনে ভবনগুলো সিলগালা করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। রাজউক এলাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবন চিহ্নিত করেছি, যেগুলো যতটুকু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেটুকু ভেঙে ফেলব।
রিয়াজুল ইসলাম বলেন, তিনি যতদিন দায়িত্বে আছেন, ততদিন এই কাজ চলবে। এগুলো ভেঙে হোক কিংবা অন্যভাবে হোক, নিয়মের মধ্যে আনব। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। যারা বাড়ি করে ফেলেছে, সেগুলোর ব্যবস্থা পরে নেব। সব কাজ একসাথে করা সম্ভব নয়। নির্মাণাধীন ভবনে কোনো ব্যত্যয় থাকবে না, সেটা নিশ্চিত করছি। নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা বেদখল হওয়া প্লটগুলো উদ্ধার করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করব।
সংগঠনের সিনিয়র সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সংগঠনের সিনিয়র সদস্য হেলিমুল আলম বিপ্লবের ঢাকার খাল নিয়ে প্রকাশিত বইয়েরও মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, ঢাকাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করতে গিয়ে আমরা শহরটিকে সমস্যায় জর্জরিত করে ফেলেছি। বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। ঢাকার ড্যাপে ২ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের জন্য শহরকে বাসযোগ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে জোনভিত্তিক পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ঢাকার বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।