আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা ১৪ বছরের কিশোরের | কলিকাল
রবিবার ২২ জুন ২০২৫ ৮ আষাঢ় ১৪৩২ ২৫ জিলহজ ১৪৪৬

রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জিলহজ ১৪৪৬

চলমান

আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা ১৪ বছরের কিশোরের

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৫:১৫ এএম

আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা ১৪ বছরের কিশোরের

ছবি ডিজাইন : দৈনিক কলিকাল

আইপিএলে গতকাল জয়-পরাজয়ের সমীকরণ ছাপিয়ে সবার চোখ ছিল রাজস্থান রয়্যালসের বৈভব সূর্যবংশীর ওপর। ম্যাচে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের বদলে ওপেন করতে নেমে ইতিহাস গড়েছেন ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সী সূর্যবংশী।

নিলামে আলোচিত এ কিশোরই এখন আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়। শুধু তা–ই নয়, আইপিএল চালু হওয়ার পর জন্ম নেয়া প্রথম খেলোয়াড় হিসেবেও আইপিএল ম্যাচ খেলার ইতিহাস গড়লেন সূর্যবংশী। আইপিএল ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করলেও সূর্যবংশীর জন্ম ২০১১ সালে।

এদিন অবশ্য শুধু অভিষেকের রেকর্ড গড়েই থামেননি এ কিশোর। মাঠে তার শুরুটাও সারা জীবন মনে রাখার মতো। শার্দূল ঠাকুরের করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলটি ছিল সূর্যবংশীর আইপিএলে খেলা প্রথম বল। আর সে বলে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে অসাধারণ এক ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন এ কিশোর।

এরপর এইডেন মার্করামের বলে আউট হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ রান। ফেরার আগে উদ্বোধনী জুটিতে যশস্বী জয়সোয়ালের সঙ্গে মিলে যোগ করেন ৮৫ রান।

এ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮০ রান করে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্ট। জবাবে শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। হেরে গেছে মাত্র ২ রানে।

৩৪ রান করে সূর্যবংশী বিদায় নিলেও রাজস্থানকে জয়ের পথে রেখেছিলেন জয়সোয়াল ও রিয়ান পরাগ। এ জুটি দলকে ১৫৬ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। জয়সোয়াল ৫২ বলে ৭৪ রান করে ফিরলে ভাঙে এ জুটি।

এরপর পরাগ আউট হন ২৬ বলে ৩৯ রান করে। শেষ ২ ওভারে ২০ এবং শেষ ওভারে রাজস্থানের প্রয়োজন ছিল ৯। কিন্তু এ সহজ সমীকরণ মেলাতে পারেননি রাজস্থানের ব্যাটসম্যানরা। শেষ ওভারে ৬ রান করে তারা থামে ১৭৮ রানে। ২ রানে ম্যাচ জিতেছে লক্ষ্মৌ। যে কারণে সূর্যবংশীর দুর্দান্ত অভিষেকটাও খানিকটা ম্লান হয়ে গেল।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌর শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৬ রানে ফিরে যান মিচেল মার্শ (৪)। এইডেন মার্করাম এক প্রান্তে ঝড় তুললেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি নিকোলাস পুরান ও ঋষভ পন্ত।। ১১ রান করে পুরান ও ৩ রান করে ফিরে যান পন্ত।

তবে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়েও অবশ্য দমে যায়নি লক্ষ্ণৌ। মার্করাম ও আয়ুশ বাদোনি টেনে নেন দলকে। ১২তম ওভারে দলকে ১০০ পার করান এ দুজন। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে এ দুজন ফিরে গেলে চাপে পড়ে লক্ষ্ণৌ। ৪৫ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রান করেন মার্করাম।

আর ৩৪ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন বাদোনি। ১৭.৩ ওভারে ১৪৩ রানে ৫ উইকেট হারানো লক্ষ্ণৌর বড় সংগ্রহ তখন বেশ কঠিন মনে হচ্ছিল। ১৯তম ওভার শেষে দলটির রান ছিল ৫ উইকেটে ১৫৩। কিন্তু শেষ ওভারে সন্দীপ শর্মার ওপর ঝড় বইয়ে দেন আবদুল সামাদ।

এ ওভারের শেষ ৫ বলে ৪ ছক্কায় সামাদ নেন ২৬ রান। লক্ষ্ণৌ শেষ পর্যন্ত থামে ১৮০ রানে। ১০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন সামাদ। মূলত সামাদের ইনিংসটাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে এবং লক্ষ্ণৌকে ম্যাচ জিতিয়েছে।

মন্তব্য করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

Archive Calendar

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930