সরকারি চাকরির ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিবেচ্য না হোক | কলিকাল
মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ৩ আষাঢ় ১৪৩২ ২০ জিলহজ ১৪৪৬

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

কলিকাল'র দর্পণ

সরকারি চাকরির ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিবেচ্য না হোক

তানজিনা আকতার জেবিন

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮:১৪ পিএম

সরকারি চাকরির ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিবেচ্য না হোক

ছবি ডিজাইন : কলিকাল।

একজন চাকরিপ্রার্থীর তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এখানে একজন প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, জন্ম সনদ, স্থায়ী ঠিকানা, বৈবাহিক অবস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পূর্বের চাকরি, রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ, ধর্মীয় উগ্রবাদ বা নাশকতামূলক কাজে জড়িত ছিলেন কিনা এই তথ্যগুলো যাচাই করা হয়।

কিন্তু সরকারি চাকরিতে ভেরিফিকেশনের স্বচ্ছতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে? যেটা বিগত সরকারের আমল থেকে অন্তবর্তী সরকারের আমলেও এমন অনিয়ম হয়েছে।

৪৩ তম বিসিএসে দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে গোয়েন্দা সংস্থার নেগেটিভ প্রতিবেদনে গেজেটে বাদ পড়েন ২২৭ জন।
পরবর্তী জনপ্রসাশন মন্ত্রনালয় থেকে ২২৭ জন প্রার্থীকে পুনর্বিবেচনার সুযোগ দিয়েছেন। পরবর্তী জনপ্রসাশন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন ফৌজদারি অপরাধ না থাকলে চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন।

অনেক বিশ্লেষকরা ভেরিফিকেশনের পক্ষে এবং বিপক্ষে দু’ধরনের মতবাদ দিয়েছেন। অনেক সময় একজন প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে গিয়েছে আবার কেউ দলীয় বিবেচনায় চাকরি পেয়েছেন।
এখানেও একজন চাকরিপ্রার্থী বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।

মৌলিক অধিকার মানুষের আইনিভাবে স্বীকৃত। যেখানে সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে সকল নাগরিকের সুযোগের সমান অধিকারের উল্লেখ করা হয়েছে। একজন চাকরিপ্রার্থী কখনোই তার বাবা, দাদা, চাচা, ফুফুর রাজনৈতিক পছন্দের দলটি নির্বাচন করে দিতে পারেনা আবার পরিবার, দাদা, চাচারা কেউ রাজনীতি নাও করতে পারেন। এখানে একজন প্রার্থীর বাবা, দাদা, চাচার রাজনৈতিক পরিচয় দেখাটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অনেক সময় একজন চাকরিপ্রার্থী রাজনীতি না করেও নিয়োগে বৈষম্যের স্বীকার হোন, সেটাও অনিয়ম।

একজন চাকরিপ্রার্থীর নিজের চলাফেরা, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা আছে। যেখানে নিজের নিরাপত্তার জন্য সব মানুষের সাথে সুসম্পর্ক যেমন রাখা সম্ভব হয়না তেমনি একজন মানুষ সবার প্রিয় কখনোই হয়ে উঠেনা। এই ক্ষেত্রে একজন চাকরিপ্রার্থীর জন্য সবাই মঙ্গল না-ও চাইতে পারে। যিনি ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকবেন তাকে সৎ আর দক্ষ হওয়া প্রয়োজন। যাতে কারো ভুল ইনফরমেশনে কোন চাকরিপ্রার্থী ষড়যন্ত্রের স্বীকার না হয়।

একজন চাকরিপ্রার্থী আর তার পরিবারের পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড না দেখে তার যোগ্যতা, সততা অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দেওয়া হোক।

লেখক :
তানজিনা আকতার জেবিন

মন্তব্য করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

Archive Calendar

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930