কলিকাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪:০৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যে গণতান্ত্রিক চর্চার সুযোগ তৈরি হয়েছে, নতুন বছরে সেই সুযোগকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে। হত্যা, গুম, নির্যাতন আর প্রতিহিংসার রাজনীতি, থেকে বেরিয়ে সুস্থধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করাও প্রয়োজন বলেই মনে করেন রাজনীতিবিদরা।
নতুন বছর মানেই নতুন আশা আর নতুন সম্ভাবনা। তবে দেশবাসীর কাছে নতুন ২০২৫ সালটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ ষোল বছরের অপশাসনের পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছে দেশবাসী। তরুণরা যে দেশপ্রেম এবং নেতৃত্বের নিদর্শন তৈরি করেছে তা যেন নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশার দুয়ার খুলেছে দেশবাসীর কাছে
কোন ভুলের সুযোগে স্বৈরাচারের দোসররা যাতে ভিন্নরুপে ফিরতে না পারে সেজন্য জাতীয় ঐক্য বিশেষ প্রয়োজন বলেই মনে করে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। নতুন বছরে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে অন্তবর্তী সরকারের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর টানাপোড়েন কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বছরের কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কূটনীতিক বিশ্লেষক রাশেদ আহমেদ চৌধুরী। নিজেদের আত্ম সমালোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের মাধ্যমে দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব গড়ে তোলা প্রয়োজন বলেই জানান তিনি ।
নতুন বছরে হত্যা, নির্যাতন, গুম আর হানাহানির রাজনীতি থেকে পরিত্রাণ চায় রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যরা। দেশবাসী মুক্ত বাতাসে স্বাধীনভাবে জীবন যাপনের স্বপ্নও দেখেন তারা।
স্বাধীনতার সুফল বোঝার আগেই তা যেন ফিকে না হয়ে যায় সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথাও বলেন বশিষ্টজনেরা।